পার্থেনন মন্দির গ্রিসের রাজধানী এথেন্স শহরে অবস্থিত। এটি আক্রোপলিস পাহাড়ের উপর নির্মিত, যা এথেন্সের অন্যতম ঐতিহাসিক ও প্রতীকী স্থান। পার্থেনন মূলত দেবী এথেনা পার্থেনোসের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল, যিনি ছিলেন এথেন্স নগরীর দেবী ও অভিভাবক। খ্রিস্টপূর্ব ৪৪৭ থেকে ৪৩২ সালের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হয়, যখন এথেন্সে পেরিক্লিসের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উন্নতির স্বর্ণযুগ চলছিল। এই মন্দির প্রাচীন গ্রিক স্থাপত্যকলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন এবং ডোরিক শৈলীর স্থাপত্যে নির্মিত। এর মার্বেল খোদাই, ভাস্কর্য এবং দৃষ্টিনন্দন নকশা আজও বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি নানা ব্যবহার ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে—কখনও গির্জা, কখনও মসজিদ, আবার কখনও গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।আজ পার্থেনন কেবল গ্রিসের নয়, বরং মানব সভ্যতার ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে এসে প্রাচীন গ্রিসের শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাক্ষী হন।
![]() |
পার্থেনন মন্দির কোথায় |
পার্থেনন মন্দির: স্থান, ইতিহাস ও গুরুত্ব
স্থান:
পার্থেনন মন্দির গ্রিসের রাজধানী এথেন্স শহরের আক্রোপলিস পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। এটি শহরের একটি উচ্চ স্থান, যা প্রাচীনকাল থেকেই প্রতিরক্ষা ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে।
নির্মাণকাল ও উদ্দেশ্য:
মন্দিরটি খ্রিস্টপূর্ব ৪৪৭–৪৩২ সালের মধ্যে নির্মিত হয়। এটি মূলত দেবী এথেনা পার্থেনোসের উদ্দেশ্যে নির্মিত, যিনি এথেন্স নগরীর রক্ষক দেবী হিসেবে পরিচিত।
স্থাপত্য:
পার্থেনন ডোরিক শৈলীর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
-
মূল কাঠামো মার্বেল দিয়ে তৈরি।
-
মন্দিরের ভাস্কর্য ও খোদাই শিল্প বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রাচীন শিল্পকর্মের মধ্যে গণ্য হয়।
ঐতিহাসিক ব্যবহার:
শতাব্দী ধরে পার্থেনন মন্দির বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়েছে—গির্জা, মসজিদ, এমনকি গুদাম হিসেবে।
আন্তর্জাতিক গুরুত্ব:
এটি মানব সভ্যতার অন্যতম ঐতিহ্য।
-
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসে।
সংক্ষেপ:
পার্থেনন মন্দির গ্রিসের এথেন্স শহরের আক্রোপলিসে অবস্থিত এবং প্রাচীন গ্রিসের শিল্প, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক প্রতীক।